তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ অর্থাৎ শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে অবিচল কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন না।’
‘দারিদ্যমুক্ত বাংলাদেশ তথা অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে দেশ গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অতুলনীয়। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শনকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই প্রতিষ্ঠিত হবে সোনার বাংলা,’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে হাসুমনির পাঠশালা আয়োজিত চিত্রাঙ্কন কর্মশালায় আঁকা প্রতিকৃতি ও জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী সূচিশিল্প প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতার সাহসী সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দুঃখী মেহনতি মানুষের মুক্তিদূত হিসেবে জনগণের কাছে আদর্শ ও অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে আছেন। তিনি জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধু আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন।
শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বড় অংশ নারী। সর্বস্তরে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর।
নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে অনন্য নজির স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও হাসুমনির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী।