রবিবার সচিবালয়ের ক্লিনিক ভবনের সামনে শোক দিবস উপলক্ষে 'আলোকচিত্র, ডিজিটাল ডিসপ্লে ও সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু' সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অন্যায়ের প্রতিকার করতে হয়। সেজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হয়েছে। বিচারের রায় কার্যকরও হয়েছে। এই মুজিব শতবর্ষে আমাদের প্রত্যয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর যে সকল পলাতক খুনি এখনও পৃথিবীর যে সকল জায়গায় পালিয়ে আছে তাদের বাংলাদেশে ফেরত এনে বিচারের রায় কার্যকর করা।’
‘একই সাথে শুধু যারা সম্মুখে থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছিল তারাই অপরাধী তা নয়। সত্য এবং ন্যায়ের স্বার্থে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন। জিয়াউর রহমানসহ যারা এর সাথে যুক্ত তাদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন,’ যোগ করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাঙ্গালিদের ইতিহাস জানার স্বার্থে একটি কমিশন গঠন করে এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে। তাহলে ইতিহাস সঠিকভাবে রচিত হবে। মুজিব শতবর্ষে এই কাজটি করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে যখন সমৃদ্ধির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে পারেননি। তবে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরনের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে।’
এসময় তথ্য প্রতিমন্ত্রীর ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার যারা মূল পরিকল্পনাকারী, নীল নকশা প্রণয়নকারী, সেই খুনি মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের মুখোশ বাঙালি জাতির সামনে উন্মোচিত করতে হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তথ্য সচিব কামরুন নাহার, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরীসহ তথ্যমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।