সহপাঠী ও শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ম্যাজিক প্যারাডাইস থেকে তার মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
নিহত ফৌজিয়া সদর উপজেলার পিয়ারাপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। সে ইলেভেন কেয়ার একাডেমীর দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, একাডেমী থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ৫০ শিক্ষার্থী নিয়ে ম্যাজিক প্যারাডাইসে যায় কর্তৃপক্ষ। বিকাল ৩টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ফোনে বাবার সাথে কথা হয় ফৌজিয়ার। কিন্তু সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর সংবাদ পান বাবা গিয়াস ও মা কানিজ ফাতেমা।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বনভোজনের সময় প্যারাডাইস পার্কের একটি পুলে হাঁটু পরিমাণ পানিতে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে খেলাধুলা করে ফৌজিয়া। পরে ঠাণ্ডা লেগে তার খিঁচুনি দেখা দেয় এবং সে বমিও করে। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
তার বাবা-মায়ের অভিযোগ, বনভোজনে যেতে দিতে না চাইলেও শিক্ষকরা জোর করে তাকে নিয়ে যান। দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তারা।
প্রতিষ্ঠান প্রধান রিয়াজুল কবিরের ফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রেদোয়ান আরমান শাকিল জানান, বনভোজনে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।