বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও শিক্ষার্থীরা ভিসির মন্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমার চাওয়ার দাবিতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও ফুল দেয়া ছাড়া আর কোনো অনুষ্ঠানে (মধ্যাহ্নভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। এর প্রতিবাদ করা হলে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন উপাচার্য।
এই মন্তব্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে।
এদিকে বুধবার মধ্যরাত তিনটার দিকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৮ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসময় উপাচার্যের বক্তব্য প্রত্যাহার ও তার পদত্যাগের দাবি জানায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড এসএম ইমামুল হক বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার কোনো বিষয় নেই। অনাকাঙ্খিত ঘটনার যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক। যারা স্বাধীনতা দিবস আয়োজনের বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক নয় বলেও মন্তব্য করেন ভিসি।
শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলার প্রতিবাদে বুধবার থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ক্লাস-পরীক্ষাও বর্জন করেছে। দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকারও ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বক্তব্য প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবি পেশ করে আন্দোলনরতরা।