রবিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শ্লোগানে দিতে থাকে।
এদিকে, রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটের জন্য আসেন। তাদের কাজের সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে তৃতীয় দিনের মাথায় উপাচার্য তার কটুক্তিমূলক বক্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এতে সন্তুষ্ট নয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পঞ্চম দিনে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারা। এরপর রাতে হলে ডাইনিং চালু থাকলেও আজ সকাল থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও ফুল দেয়া ছাড়া আর কোনো অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। এর প্রতিবাদ করা হলে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন উপাচার্য। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। পরে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে এবং হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।