বুধবার দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোশারেফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নগরের আমতলামোড় পুলিশ কমিশনার অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অথৈর মৃত্যুর ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে নিহত শিশু সাবিহা আক্তার অথৈর বাবার দেয়া তথ্যানুযায়ী একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করা হয়। তবে তদন্তের সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে ১০-১২ লাখ টাকার দেনা-পাওনার একটি বিষয় সামনে আসে। যার সূত্র ধরে তদন্তে নেমেই অথৈর বাবাকে আটক করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, অথৈর বাবার কাছে বেশ কয়েকজনে কিছু টাকা পেত। ওই টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সন্তানকে হত্যা করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন তিনি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবা গোলাম মোস্তাফার দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন সকালে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাবার কথা বলে মোটরসাইকেল যোগে ঘর থেকে বের হয়। তাকে স্কুলে না নিয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল যোগে নগরের সদর রোডের সাউথইস্ট ব্যাংকের পাশে বিসিসির পানির পাম্প হাউসের পাশে থাকা রুমে নিয়ে যায়। সেখানেই নিজ হাতে আদরের একমাত্র কন্যা অথৈকে শ্বাস রোধে হত্যা করে। পরে বাড়ির পাশের লেবুর বাগানে নিজেই মেয়ের লাশ রেখে আসেন।