সেই সাথে তারা রোহিঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের অব্যাহতভাবে সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যৌথ সফরে আসা জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় দপ্তরের প্রধান ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী মার্ক লোকক, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনো এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি শুক্রবার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে এ আহ্বান জানান।
দক্ষিণ এশিয়ার জনবহুল দেশ বাংলাদেশ প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ এ দেশের রোহিঙ্গাদের জন্য খাবার ও আশ্রয় দেয়া অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহায়তা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভবিষ্যত ঝুলে রয়েছে জানিয়ে গ্র্যান্ডি বলেন, ‘আমাদের শরণার্থীদের শেখার সুযোগ, দক্ষতা বাড়ানো ও তাদের জন্য অবদান রাখতে হবে যাতে তারা মিয়ানমারে ফিরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেতে পারে।’
আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনো বলেন, রোহিঙ্গাদের বিশেষ করে তরুণদের আশা ও সুযোগ দেয়ার প্রয়োজন, যাতে করে তারা মিয়ানমারে ফিরেও সফল জীবন-যাপন করতে পারে।
তারা শরণার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয়দের ব্যাপারে যথেষ্ট অবগত বলেও জানান তিনি।
মার্ক লোকক বলেন, একটি জ্ঞানী ও দূরদৃষ্টিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি কেবল শরণার্থীদের তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকেই মুক্তি নয়, তাদের ভবিষ্যতের মর্যাদাপূর্ণ জীবনের ব্যাপারেও প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে।