সেই সাথে তিনি কার্যকর বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ এবং অবাধ গণমাধ্যম থাকার প্রতি জোর দিয়েছেন বলে বুধবার ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাজ্য মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য হিসেবে মার্ক ফিল্ড সাক্ষাৎ করেন।
সম্প্রতি তার দুই দিনের সফরকালে তিনি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করতে সিনিয়র সম্পাদকদের সাথে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। সেই সাথে তিনি মধ্যম-আয়ের দেশ হওয়ার পথে থাকা বাংলাদেশের অব্যাহত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উষ্ণ প্রশংসা করেন।
ব্রিটেন দ্বিতীয়-সর্ববৃহৎ বৈদেশিক বিনিয়োগকারী হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি ইউকে এইড কর্মসূচির মাধ্যমে এ দেশকে সহযোগিতা দিচ্ছে।
মার্ক ফিল্ড রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সরকারের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরা শুরু করার জন্য মিয়ানমারের সাথে সংলাপের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিরাট অগ্রগতি অর্জন করছে এবং দুদেশের মধ্যে ইতিমধ্যে থাকা গভীর সংযোগকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করতে পেরে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন।
দুই দেশ মানবপাচার রোধ এবং কমনওয়েলথের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে বাণিজ্যের মতো নানা অভিন্ন বিষয়ে একসাথে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
‘কিন্তু বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ও জবাবদিহি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সমাধানে প্রস্তুত আছি, যেখানে বাংলাদেশ সরকারের তার জনগণের জন্য আরও বেশি কিছু করা উচিত বলে আমরা বিশ্বাস করি, যাতে জনগণ তাদের উন্নতি এবং পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে,’ যোগ করেন মার্ক ফিল্ড।
তিনি সফরকালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি গোলটেবিল অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থানীয়দের সাথে মিলে শাখা ক্যাম্পাসের মাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে তার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।