রাজধানীর একটি হোটেলে গত বৃহস্পতিবার কসমস ডায়লগে মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানব সম্পদ সম্ভবত সবচেয়ে বড় সম্পদ… এর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এ সম্ভাবনাকে উন্মোচন ও কাজে লাগানোর জন্য সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিক্ষা।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা বিশ্বমানের শিক্ষায় উপকৃত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্রিটেন তাদের সহায়তা করতে পারে।
এমনটি হলে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে মানব সম্পদ উন্নয়নে সত্যিকারের কাজ হবে, যোগ করেন তিনি।
হাইকমিশনার বলেন, ক্রমবর্ধমান ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বাংলাদেশের তরুণদের মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
কসমস অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের দ্বিতীয় সংস্করণ ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো) দরজায় কড়া নাড়ছে কিন্তু এখানে দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা আশা করব দরজা খুলে দেয়া হবে।’
একই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে গুণগত করতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
‘এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ জানিয়ে তিনি গ্রেড ওয়ান থেকে শুধু গণিত ও কোডিং দিয়ে এস্তোনিয়া কীভাবে অনেক ভালো করছে তা উল্লেখ করেন।
তাই ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় নজর দিয়ে সাহায্য করতে পারে, যোগ করেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষাখাতের গুরুত্ব স্বীকার করে হাইকমিশনার ডিকসন বলেন, এখানকার স্কুলগুলোতে প্রায় ৪ কোটি ৪০ লাখ শিশু রয়েছে।
‘কমনওয়েলথ প্লাটফর্মের সর্বোচ্চ ব্যবহারের আহ্বান’
কমনওয়েলথ প্লাটফর্মের ওপর গুরুত্বারোপ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক সেলিনা মোহসিন বলেন, আমি জানি না কমনওয়েলথ কেন আছে। ব্রিটিশ রানীর ভালোবাসার এ প্লাটফর্মটির সংস্কারে ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
অধ্যাপক সেলিনা আরও বলেন, শ্রম বাজারের প্রয়োজন মেটাতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বৃত্তি প্রদান করে এবং শিক্ষক পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।