বৃহস্পতিবার তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
মেরিস পেইন ৪-৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় তৃতীয় আইওআরএ ব্লু ইকোনমি মন্ত্রিসভা সম্মেলনে যোগ দিতে তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন নিশ্চিত করার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে আসার আগে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রকৃত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অজি মন্ত্রী মেরিস পেইন মিয়ানমার সফর করেন।
তিনি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেন যে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আস্থা ও বিশ্বাসের ঘাটতির কারণে রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে।
মেরিস পেইন বলেন, তিনি এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা সঙ্কট সম্পর্কিত প্রতিবেদন পড়েছেন এবং প্রকৃত পরিস্থিতি অনুধাবন করতে কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য অস্ট্রেলিয়া মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে এবং এনজিও ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়াবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহী।
দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আবদুল মোমেন বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে অস্ট্রেলিয়াকে বিনিয়োগে আমন্ত্রণ জানান।