সৌদি বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল কাসাবি এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন মাজইয়াদ আল-তোয়াজরির নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়ে এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দুদেশের মধ্যে এই উচ্চ পর্যায়ের সফল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তার মতে, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার প্রচলিত সম্পর্ক অংশীদারিত্বের সম্পর্কে রূপ নিয়েছে।
১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের চতুর্থ সম্মেলনে তৎকালীন সৌদি বাদশা ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সউদের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈঠকের বিষয়টি উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, তখন থেকে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে সই হওয়া চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক নিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব সমঝোতা ও চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ খুবই আগ্রহী। তাহলে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যাবে।’
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, বিভিন্ন খাতে এসব উদ্যোগের মাধ্যমে দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
সৌদি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতিকে জানান, তারা ইতিমধ্যে একটি কর্ম সম্পাদন দল (ওয়ার্কিং টিম) গঠন করেছেন এবং তা বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে কাজ করছে।
তারা বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অসাধারণ আর ওষুধ ও কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুব উজ্জ্বল। এসব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে মার্কেটিং ও যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিনিধিদলটি।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় বিষয়াবলী সংক্রান্ত সচিব (এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল) মাহবুব উজ জামান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ ও মহাপরিচালক (পশ্চিম এশিয়া) আমানুল হকসহ রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।