‘তিস্তা চুক্তি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সজাগ আছেন; এটা রাজনৈতিক বিষয়। বাংলাদেশের সাথে ভারতের তিস্তা নদী বিষয়ে খুব শিগগিরই একটা সমাধান হবে। এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করব। তিস্তা চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই হবে’, বলেন তিনি ।
রবিবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টাস ফোরাম (বিএসআরএফ) এর সাথে সংলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী বলেন, পানির হিস্যা নিয়ে জেআরসি ভারত বাংলাদেশ কর্মকর্তা পর্যায়ে বৈঠক ফেব্রুয়ারি মাসের ২২-২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে নয়াদিল্লিতে। এরপর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক করার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিব।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ছয়টি নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। হাওর এলাকায় খুব শিগগিরই পরিদর্শনে যাবেন। এছাড়া আরও যেসব নদী ভাঙন এলাকা চিহ্নিত করেছেন, সেগুলোও পরিদর্শন করবেন।
উপমন্ত্রী বলেন, নদী রক্ষা, নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ ৯৪টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার উপরে প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার চেস্টা করা হচ্ছে । তারমধ্যে ২৯টি প্রকল্প এ বছর জুনের মধ্যে শেষ হবে। আগামী বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে নদী ভাঙনরোধে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য যা যা করা দরকার তা এই মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বিষয়ে কাজ করছেন জানিয়ে এনামুল হক শামীম বলেন, কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, নদী ভাঙন ও হাওড়ে বাধ নির্মাণে দুর্নীতি হয়। যে পর্যায়েই দুর্নীতি হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে চা চক্রের ডাকে সাড়া না দেয়া ঐক্যফ্রন্টের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিফলন বলে মনে করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমি মনে করি বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। উপজেলা নির্বাচনের মতো স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি অংশ না নিলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।