এ নিয়ে গত ২৭ জুলাই থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাগেরহাটে সরকারি হিসেবে ১১২ জন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাগেরহাট সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুসহ ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে কলেজছাত্র, ব্যবসায়ী, গৃহিণী, ভ্যানচালকসহ নানা পেশার মানুষ। বাগেরহাটে ক্রমন্বয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে।
সদর উপজেলার জোহোরা বেগম জানান, তার স্বামী শাহ্ আলম (৩০) একজন ভ্যানচালক। তিনি কখনো ঢাকা বা বাগেরহাটের বাইরে যায়নি। গত চারদিন আগে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রেখে স্বামীর চিকিৎসা চলছে।
জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বোলপুর গ্রামের মিনু রাণী ডাকুয়া জানান, তার ছেলে হৃদয় কুমার ডাকুয়া (২১) অনার্সের ছাত্র। গত দুদিন আগে সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। এরপর ছেলেকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্ত পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার পর ছেলের ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জি কে এম শামসুজ্জামান জানান, বাগেরহাটে আরো ১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৭ জুলাই থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাগেরহাটে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে। বর্তমানে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুসহ ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আক্রান্তদের অধিকাংশই ঢাকা ফেরত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ডা. জি কে এম শামসুজ্জামান জানান, বাগেরহাট সদর হাসপাতাল এবং জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে সরকারিভাবে বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আলাদা কর্নার খোলা হয়েছে।
আক্রান্তদের মাধ্যমে যাতে ডেঙ্গু ছড়াতে না পারে এজন্য তাদেরকে মশারির মধ্যে থাকার পরামর্শ দেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।