উপজেলার চরবড়বাড়িয়া পূর্বপাড়ায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতি নৃপেন চন্দ্র বৈদ্য জানান, শনিবার সকালে গ্রামের কয়েকজন নারী মণ্ডপে প্রার্থনা করতে গিয়ে দেখেন বিভিন্ন প্রতিমা ভাঙচুর ও তছনছ করা হয়েছে। কয়েকটি প্রতিমার মাথা পাশের রাস্তায় ফেলে রাখা হয়।
রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা দড়ি দিয়ে বাঁধা মণ্ডপের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ মণ্ডপে লক্ষ্মীপূজার পরের দিন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। সে হিসেবে সোমবার তাদের বিসর্জন দেয়ার কথা ছিল।
নৃপেন চন্দ্র আরও জানান, দুর্গাপূজার নবমীর দিন সোমবার রাতে পাশের গ্রামের কয়েকজন মুসলিম যুবক মণ্ডপে এসে নারীদের লক্ষ্য করে কটূক্তি এবং ইভ টিজিং করেন। এ সময় মণ্ডপ কমিটির লোকজন তাদের বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। ওই যুবকরা প্রতিমা ভাঙচুর করতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন নৃপেন চন্দ্র।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরীফুল হক জানান, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় নৃপেন চন্দ্র বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।