বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি থেকে সড়ক পথে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা হয়ে মারিশ্যা সড়কে ৯ কিলোমিটার এলাকার ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন আলামত প্রত্যক্ষ করেন।
তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন আশীষ কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবুল ফয়েজ, বাঘাইহাট জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর আশরাফ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেক আহমেদ, চট্টগ্রাম ৩০ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক ও অধিনায়ক মো. নুরুল আমিন ও সদস্য সচিব রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম।
পরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বাঘাইছড়ি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্ত কমিটি প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও হতাহতদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করেন।
এদিকে বিলাইছড়িতে আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি চাকমাকে হত্যা ও বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাঘাইছড়ি।
এসময় বক্তারা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
অপরদিকে বাঘাইছড়িতে ৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনার ৩ দিনের মাথায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪০-৫০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর কথা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
প্রসঙ্গত, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে বাঘাইছড়ি উপজেলায় ফেরার পথে বাঘাইছড়ির ৯ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড় থেকে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বহন করা গাড়ীর উপর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে ব্রাশ ফায়ার করে। এ সময় গাড়ীতে থাকা সকলেই হতাহত হয়।