রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে ৩০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে ঈদের সময় সড়ক ও নৌপথে পরিবহন ব্যবস্থাপনা তুলনামূলক ভালো ছিল। প্রায় সব মহাসড়ক বড় ধরনের যানজটমুক্ত ছিল। ঘরমুখী মানুষজনকে উপকূলীয় জেলাগুলোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকায় পর্যাপ্ত লঞ্চ ছিল।
তবে, ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীরা এ খাত থেকে প্রত্যাশিত সেবা পাননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস ও লঞ্চের মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে পারেনি বলে জানায় নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
তারা জানায়, ৩০ মে সাতটি দুর্ঘটনায় নয়জন নিহত ও আটজন আহত এবং ৩১ মে ছয়টি দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত ও সাতজন আহত হন।
১ জুন ১০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হন মোট ১১টি দুর্ঘটনায়। ১৫টি দুর্ঘটনায় ২ জুন ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন। ৩ জুন সাতটি দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন।
ঈদের আগের দিন ৪ জুন ছয়টি দুর্ঘটনায় ১৬ ও ৬২ জন যথাক্রমে নিহত ও আহত হন। ঈদের দিন ৫ জুন ২৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হন ১৬টি দুর্ঘটনায়। ঈদের পর দিন ৬ জুন আটটি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১১ ও ৩৩ জন।
৭ জুন ১১ জন নিহত এবং ১৮ জন আহত হন ছয়টি দুর্ঘটনায়। সাতটি দুর্ঘটনায় আটজন নিহত ও ১১ জন আহত হন ৮ জুন। আর ৯ জুন ছয়টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হন যথাক্রমে পাঁচ ও ২৪ জন।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে ইউএনবিকে বলেন, ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনার জন্য তারা ছয়টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছেন।
কারণগুলো হলো- বিভিন্ন ফেরিঘাট ও টোল স্টেশনে ব্যয় হওয়া সময় পুষিয়ে নিতে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ট্রাফিক পুলিশের উদাসীনতা, নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের তাগিদের কারণে চালকের অন্যমনস্কতা, অতিরিক্ত ট্রিপ দেয়ার কারণে চালকদের শারীরিক ও মানসিক অবসন্নতা, ওভারটেকিংয়ের সময় ট্রাফিক আইন অনুসরণ না করা এবং আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিনচাকার যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল।