বৃহস্পতিবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করে।
এর আগে গত ১৯ মে হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুলসহ কয়েকটি বিষয়ে শুনানি শেষে ২৩ মে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিল। যার ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি রায়ের জন্য কার্যতালিকায় আসে।
কোনো ব্যক্তি দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত হলে সংশ্লিষ্ট যানের বিমা কোম্পানি কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে আদালতে শুনানি হয়। বিমা সংক্রান্ত এ বিষয় সামনে আসার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি নিয়ে রায়ের দিন পিছিয়ে দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারী আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস। বিআরটিসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাতার হোসেন।
গত বছরের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান রাজীব। দুই বাসের চাপায় তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরদিন ৪ এপ্রিল রাজীবের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস।
তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ১৩ দিন চিকিৎসার পর ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
অন্যদিকে, হাইকোর্ট রুহুল কুদ্দুসের রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৮ মে এক আদেশে রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশসহ রুল জারি করে। বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে এক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের এক কোটি টাকার মধ্যে ২৫ লাখ করে ৫০ লাখ টাকা জমা দিতে বলা হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহন আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২২ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য দায় নিরূপণে একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়। এ অনুসারে দায় নিরূপণে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি গত অক্টোবরে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়ে ১৯ মে শেষ হয়।