একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রমের ওপর ইতিপূর্বে দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর ফলে তার বিরুদ্ধে মামলাটির বিচার চলতে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মো. খুরশিদ আলম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুল হাই ২০০৪ সালের ২৯ জানুয়ারি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান বরাবরে গুলশান ও বনানী আবাসিক এলাকায় তার নামে একটি প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনের সঙ্গে রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী একটি হলফনামা দাখিল করেন। এরপর ২০০৫ সালে তার নামে রাজউক থেকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়।
পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, তার স্ত্রী জামিলা খাতুন রাজধানীর বারিধারায় প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। ১৯৮৭ সালের ১২ এপ্রিল জামিলার নামে বরাদ্দ প্লটটি মনোয়ার হোসেনের কাছে বিক্রি করেন। ফলে আবদুল হাই তথ্য গোপন করে হলফনামা দিয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়।
এরপর দুদক ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা করে। একই উপ-পরিচালক তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত অভিযোগ গঠন করলে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেন সাবেক এ সংসদ সদস্য।
গত বছরের ১০ মে হাইকোর্ট মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে রুল জারি করে এবং মামলাটির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে রবিবার আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।