শনিবার রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া অডিটরিয়ামে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, যখন নগরায়ন ও শিল্পায়ন অপরিকল্পিতভাবে হচ্ছে তখন উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে পরিকল্পনা বজায় রাখা বিদ্যুৎ খাতের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
এমন অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে বিদ্যুৎ নিয়ে আসল পরিকল্পনা প্রায়ই পরিবর্তন করতে বাধ্য হতে হয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, যখন এমন অপরিকল্পিত উন্নয়ন হয় তখন ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদা নিয়ে পূর্বানুমান করা কঠিন।
শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকা নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্য বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা থাকা অপরিহার্যভাবে প্রয়োজন বলে মত দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি অর্থনৈতিক এলাকা উন্নয়নে সরকারের নেয়া সাম্প্রতিক পরিকল্পনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বিদ্যুৎ খাতের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, বিদ্যুৎ খাতের ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন জানান, তার সংস্থা গত তিন বছরে পল্লী এলাকায় এক কোটি ৬০ লাখ নতুন সংযোগ দিয়েছে। কিন্তু তারা এখনো মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারেননি। যে কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং এই চাহিদা পূরণে সরকার মাস্টার প্লান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
ডেইলি সানের আয়োজনে পত্রিকাটির সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম তামিম ও ড. ইজাজ হোসেন।