ঢাকা সফররত জার্মান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া রুথ প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মত দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালানি খাতে বিশেষ করে বাংলাদেশে আবাদযোগ্য জমি কম ব্যবহার করে নতুন বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে আরও গবেষণা কাজ করতে হবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের সফলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। সেই সাথে জাতীয় গ্রিড পৌঁছাতে না পারা দূরবর্তী এলাকাগুলোতে সৌর প্লান্ট বসানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার বিভিন্ন দুর্যোগের বিষয় মাথায় রেখে দেশের উন্নয়ন করছে। এর অংশ হিসেবে দেশের নদীগুলো খনন করা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে কোনোভাবে দায়ী না হলেও এ দেশ বিষয়টির সবচেয়ে খারাপ শিকারে পরিণত হয়েছে।
এ সময় জার্মান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া রুথ সম্প্রতি মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সেই সাথে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনে ঐতিহাসিক উদ্যোগ নেয়ায় শেখ হাসিনা সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ অনেক বাধা মোকাবেলা করে বিশাল উন্নয়ন অর্জন করেছে।
পরে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা এইচ ফোর প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে ইউনিসেফ সহযোগিতা করছে। জাতিসংঘের এ সংস্থাটির এমন সহযোগিতা বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে তাদের সহযোগিতা ভবিষ্যতে বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জবাবে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে অব্যাহত সাহায্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা বজায় রাখার আশ্বাস দেন।