তিনি কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, স্কোয়াডন লিডার খায়রুল মামুন।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, লালমনিরহাটের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরটি চালুর দাবি জানিয়ে আসছিল। এ বিমানবন্দরটি নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বিশেষ করে বিমান মেরামত ও কারখানা তৈরির কথা ভাবছে সরকার। এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বিমান বাহিনী প্রধান পরিদর্শনে এসেছিলেন বলে তিনি জানান।
১৯৩১ সালে লালমনিরহাটের ১১৬৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে বিমানবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম সূচনা করে বৃটিশ সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ব চলাকালীন সময়ে এ বিমানবন্দরটিই ছিল মিত্র বাহিনীর একমাত্র ভরসা স্থল। এদিকে ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই নিস্তব্ধতায় ডুবে যেতে থাকে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বিমানবন্দরটি। তবে ১৯৫৮ সালে পুনরায় বিমান সার্ভিস চালু হয়। কিন্তু সেসময় আশানুরূপ যাত্রী না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় বিমান চলাচল।