এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার সকালে রাজধানীর বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৩৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতার ভবানীপুরে রিজিয়া রহমানের জন্ম। দেশভাগের পর পরিবারের সঙ্গে তিনি এপার বাংলায় চলে আসেন। ষাটের দশক থেকে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্যসহ সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার মূল পরিচিতি ঔপন্যাসিক হিসেবে। তিনি ‘বং থেকে বাংলা’ উপন্যাসের জন্য সর্বাধিক খ্যাতি লাভ করেন। তিনি অর্ধশতাধিক উপন্যাস এবং ছোট গল্প লিখেছেন।
ঘর ভাঙা ঘর (১৯৭৪), উত্তর পুরুষ (১৯৭৭), রক্তের অক্ষর (১৯৭৮), বং থেকে বাংলা (১৯৭৮), সূর্য সবুজ রক্ত (১৯৮০), একাল চিরকাল (১৯৮৪), আত্মজীবনী নদী নিরবধী (২০১১) তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন। চলতি বছর তাকে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘রিজিয়া রহমান ছিলেন একাধারে লেখক, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা- গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও শিশুসাহিত্যে ছিল তার অবাধ বিচরণ। তার মৃত্যু এদেশের সাহিত্য অঙ্গণের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য এ খ্যাতনামা ঔপন্যাসিককে এদেশের মানুষ দীর্ঘকাল স্মরণ রাখবে।’