বেলা সোয়া ১১টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়। এসময় আবরারের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিকাল ৫টায় আলোচনা সভায় বসার কথা রয়েছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের।
বুয়েট শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবিগুলো হচ্ছে: আবরারের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা; হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার; মামলার সব খরচ ও আবরারের পরিবারের ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করা; দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তিতে বুয়েট প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া এবং অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিস দেয়া।
এছাড়া বুয়েটে ‘সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি’ নিষিদ্ধ করা; বুয়েট ভিসি ও ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টাকে (ডিএসডব্লিউ) জবাবদিহি করা; আবাসিক হলগুলোতে র্যাগের নামে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলে পদক্ষেপ নেয়া; নির্যাতন বিরোধী রিপোর্টের জন্য অফিসিয়াল সাইটে পোর্টাল খুলে ঘটনাগুলোর দ্রুত বিচার করা এবং শেরে বাংলা হলের প্রভাস্টকে প্রত্যাহার করা।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম শুক্রবার দুপুর ২টার মধ্যে দেখা না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব ভবন তালাবদ্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পক্ষ থেকে শুক্রবার বিকালে আলোচনায় বসার কথা জানানো হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
বুয়েটের ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে (২১) রবিবার রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে বুয়েটের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মাসুক এলাহি তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে আবরারকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।