ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত পাঁচ নোটিশে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ, আবাসিক হলের অবৈধ বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যালয় সিলগালা করে দেয়ার ঘোষণা দেয় বুয়েট। সেই সাথে শিক্ষার্থীরা যাতে র্যাগিংয়ের অভিযোগ জানাতে পারে সে জন্য ওয়েবসাইট চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বুয়েট কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পরই এতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
এছাড়া, মামলা পরিচালনার ব্যয় বহন ও হলগুলোর প্রতিটি তলায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে এ ঘোষণাগুলো আসার পর বেলা পৌনে ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।
তবে এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘১৪ অক্টোবরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে আমরা পুনরায় আন্দোলনে যাব।’
গত রবিবার রাতে শের-ই-বাংলা হলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর হাতে আবরার নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার বিকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নিয়ে ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
কিন্তু শনিবারের লিখিত নোটিশ জারি না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্যের এ ঘোষণা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের খুব একটা শান্ত করতে পারেনি।