দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানীর তিনটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি জীবন ও সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার দূর করার জন্য আমাদের (দুর্গাপূজার) এ চেতনাকে কাজে লাগাতে হবে। সবাইকে আসুরিক চেতনার বিনাশ করে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্গাপূজা দেশের একটি সার্বজনীন উৎসব ও ঐতিহ্য। ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সবাইকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি প্রথমে রামকৃষ্ণ মিশনে যান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ।
এ সময় রাষ্ট্রপতিকে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে শাল ও বই উপহার দেয়া হয়।
পরে আবদুল হামিদ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান এবং সেখানে তাকে স্বাগত জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি সেলিম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার।
রাষ্ট্রপতি সর্বশেষ গুলশান-বনানী পূজামণ্ডপে যান। সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু কুমার দাস তাকে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতি মণ্ডপগুলো পরিদর্শনকালে লোকজনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।