সকাল ৯টা থেকে তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা ভিসিকে প্রত্যাহার দাবিতে আন্দোলন করছেন।
এদিকে দুপুরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লোকমান হোসেন বলেন, ভিসি আমাদের আন্দোলন দেখে ভয় পেয়েছে এবং তাই আমাদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের যতই ভয় দেখানো হোক অমরা হল ছাড়বো না এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, আর এতে যদি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এসএম ইমামুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর ছাত্রদের আন্দোলন পুরোপুরি অযৌক্তিক। হল ছাড়ার নির্দেশের পর কেউ যদি হল না ছাড়ে তাহলে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ নেবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও ফুল দেয়া ছাড়া আর কোনো অনুষ্ঠানে (মধ্যাহ্নভোজ ও সাংস্কৃতিক) শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। এর প্রতিবাদ করা হলে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন উপাচার্য।