পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন যে তিনি এ রায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না, তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশেও একই অবস্থা বজায় থাকবে।
শনিবার রাজধানীতে ক্রীড়াবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সংক্ষেপে এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানে মন্দির গড়ার জন্য সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠন করতে বলেছে আদালত। সেই সাথে অযোধ্যার অন্যত্র একটি মসজিদ গড়ার জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে একটানা ৪০ দিন শুনানি হওয়ার মাসখানেক পর ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে।
১৯৯২ সালে কট্টর হিন্দুরা প্রাচীন বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার পর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হন।
কট্টরপন্থী হিন্দুদের দাবি, বাবরি মসজিদের জায়গাতেই ভগবান রামের জন্ম হয়েছিল এবং একটি রামমন্দির ভেঙে মোঘল আমলে সেখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।
বাবরি মসজিদ আর রাম জন্মভূমি নিয়ে কয়েক শতাব্দীর এ বিতর্ক নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার দাঙ্গা হয় এবং বিষয়টি ভারতে অন্যতম রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়।