সেই সাথে তার সম্প্রতি ভারত সফরের সময় দেশবিরোধী চুক্তি হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ বিসর্জন দেবে তা হতে পারে না।
‘যারা (ভারতের সাথে চুক্তি নিয়ে) প্রশ্ন তুলছেন ও কথা বলছেন তারা অতীত ভুলে গেছেন। এটা কখনো হবে না যে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বার্থ বিক্রি করে দেবে এবং তা সবার জানা উচিত,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তার সদ্য সমাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিদেশ থেকে এলপিজি আমদানির পর বোতলজাত করে ভারতে রপ্তানি করব। এলপিজি প্রাকৃতিক গ্যাস না এবং বাংলাদেশে তা উৎপাদিত হয় না।’
বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে ৫ অক্টোবর সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করে। নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এগুলো সই ও বিনিময় করা হয়।
সেই সাথে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে তিনটি দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদারিত্ব প্রকল্প- বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরায় বাল্ক এলপিজি রপ্তানি, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে বিবেকানন্দ ভবন ছাত্রাবাস ও খুলনায় অবস্থিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে স্থাপিত বাংলাদেশ-ভারত পেশাজীবী দক্ষতা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করেন।