তিনি বলেছেন, ‘যে কয়জন পরীক্ষার্থী ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণিত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ওই পরীক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হবে না এবং পরীক্ষার ফল প্রকাশের ক্ষেত্রেও কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।’
জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন শনিবার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাগেরহাট, যশোর ও সাতক্ষীরায় তিনটি কেন্দ্রের কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্রের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণীত নৈর্ব্যত্তিকের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩১ জন, সাতক্ষীরা কালীগঞ্জের চাম্পাফুল আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে ৪৮ জন ও যশোরের শার্শা বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পাঁচজন পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণিত প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। পরীক্ষা শুরুর পর পরীক্ষার্থীদের নজরে এলে তারা হল পরিদর্শকদের বিষয়টি অবগত করে।
সাতক্ষীরার চাম্পাফুল আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে ওই ভুল প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে ২০১৯ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রণিত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও যশোরের শার্শা বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা ২০১৯ সালের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণিত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেয়।
এ নিয়ে ওই কেন্দ্র দুটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও যশোরের তিনটি কেন্দ্রে কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে ভুল করে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্রের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণিত প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে সাতক্ষীরার চাম্পাফুল আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে ওই ভুল প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়া হয়। ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণিত প্রশ্নপত্র দেয়ার কারণে কেন্দ্র সচিবদের কাছে বাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানো হবে।