পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদুর হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক শিশুদের দণ্ডপ্রদান এবং আটক রাখা কেন অবৈধ এবং বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন। একই সাথে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এসব শিশুর প্রত্যেকের মামলার নথি প্রস্তুত করে হাইকোর্টে পাঠাতে বলা হয়েছে। আর জামিনপ্রাপ্ত এসব শিশুদের জামিননামা সংশ্লিষ্ট জেলা শিশু আদালত বরাবর জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এনে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম শুনানি করেন। এ সময় তার সাথে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান ছিলেন।
পরে এ ব্যাপারে আব্দুল হালিম বলেন, রাষ্ট্রীয় খরচে এই আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে। আদেশ পাওয়ার পর শিশুদের ছেড়ে দিতে হবে। পাশাপাশি আগামী ১৮ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) একটি জাতীয় দৈনিকে ‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। ওই প্রতিবেদনে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ১২১ জন শিশুকে সাজা দিয়ে তাদের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর তথ্য উল্লেখ করা হয়।