শনিবার মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ১১৯ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং মনু নদীর পানি বিপদসীমার ২০সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশা করা যায় রাতের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। একই সঙ্গে সতর্কতা জারি করেছে পউবো।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের ৪৮ কি. মি. দূরে ভারতের নলকাটা ব্যারেজ খুলে দেয়ার ফলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের নাজাতকোনা এলাকায় শুক্রবার দুপুরে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের পুরাতন ভাঙন দিয়ে পানি বেরিয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার বন্যা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এমতাবস্থায় বন্যা মোকাবেলা করার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে পানিবন্দি হয়েছেন অর্ধশতাধিক পরিবার। হুমকির মুখে রয়েছে ২০টি ঘর। কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর আদমপুর ইউনিয়নের নাজাতকোনা ও পশ্চিম ঘোড়ামারা গ্রামে কয়েক বছর ধরে বাঁধ ভাঙা থাকার কারণে এই অবস্থা দেখা দিয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ মেরামতে স্থানীয়দের অসহযোগিতাকে দায়ী করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্যাক্রান্ত ঘোড়ামারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।