তিনি বলেন, ‘মাদকের জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে মাদক নির্মূলে আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনকে যথোপযুক্ত করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখছে।
‘আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের তরুণদের ওপর নির্ভর করছে, কেননা বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ যুবক এবং তরুণ কর্মক্ষম। তাদেরকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না। সেজন্যই আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি (মাদক থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে),’ যোগ করেন তিনি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে ডিজিটাল ডিভাইস ‘কিয়স্ক’ এর মধ্যমে মাদকবিরোধী প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান খান এসব কথা বলেন।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘কিয়স্ক’ যুক্ত এলইডি ডিসপ্লের মাধ্যমে মাদকবিরোধী বিভিন্ন শর্টফিল্ম, টিভিস, নাটক-নাটিকা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কিয়স্ক এর মাধ্যমে আমরা মাদকের কুফল সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি। আমরা ক্রমবর্ধমান মাদকের দাবি মেটাতে আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সীমান্ত এলাকায় নজরদারির মাধ্যমে তারা মাদক চোরাচালান বন্ধে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদকদ্রব্যের প্রতিকূল প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য নিকটবর্তী স্কুল এবং কলেজগুলোর মতো জনবহুল এলাকাগুলোতে কিয়স্ক স্থাপন করা হবে।
মাদকদ্রব্যের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে ইমাম ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।