মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ কায়সারুল ইসলাম মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মঈনুল হোসেনকে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার রাতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়ার বাদী হয়ে করা মানহানির মামলায় রংপুরের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মঈনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসবের মধ্যে মাসুদা ভাট্টি নিজে বাদী হয়ে ২১ অক্টোবর ঢাকায় মানহানির একটি মামলা করেন। একই দিনে জামালপুর, কুমিল্লা ও কুড়িগ্রামে আরও তিনটি মামলা করা হয়। সেই সাথে সোমবার ভোলা ও রংপুরে একটি করে মামলা হয়।
রবিবার মানহানির দুই মামলায় ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে তাকে পাঁচ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দেয় হাইকোর্ট।
মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৬ অক্টোবর মিথিলা ফারজানার উপস্থাপনায় একাত্তর টিভির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। সেখানে তিনি নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় মাসুদা ভাট্টির মানহানি হয়েছে বলে বিবরণে দাবি করা হয়।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন মঈনুল হোসেন। তিনি ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।