মঙ্গলবার ভোর রাত ৩টার দিকে সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের ভাকুম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৪ এর মেজর আব্দুল হাকিম জানান, তাদের কাছে পরিচয় গোপন করে তমিজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, ভাকুম গ্রামের বাছের ফকিরের বাড়ির পাশে একটি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ৪টি পেট্রল বোমা, ১০টি ককটেলসহ পেট্রল বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি রয়েছে।
ওই ফোনের সুত্র ধরে মঙ্গলবার ভোর রাত ৩টার দিকে বাছের ফকিরের বাড়ির পাশে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, পেট্রল বোমাসহ বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম জানান, অভিযানে আসার পর থেকে যে মোবাইল নম্বরে তাদের এই বার্তা দেয়া হয় সেটি বন্ধ পাওয়া গেলে তাদের মনে সন্দেহ হয়। পরে ফোনটির নম্বর সনাক্ত করে জানা যায় নম্বরটি আসলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তমিজ উদ্দিনের।
পরে যে বাড়ির পাশ থেকে ওই অস্ত্রসহ গোলা বারুদ উদ্ধার হয় তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাছের ফকিরের এক ছেলে রাসেল (১৯) হত্যাকান্ডের ঘটনায় তমিজ উদ্দিনের ছেলে রাকিব প্রধান আসামি।
দীর্ঘদিন কারাবাস শেষে সম্প্রতি ওই আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে বাছের ফকিরের পরিবারকে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকেন।
পরে র্যাব মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে সিংগাইর থেকে তমিজ উদ্দিনকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রতিপক্ষ বাছের ফকিরকে ফাঁসানোর কথা স্বীকার করেন তিনি।