সাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোনোটিতে ডেঙ্গু পরীক্ষার এনএস১ কিট সরবরাহ না থাকায় সবাইকে জেলা শহরে হাজির হতে হচ্ছে। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আবদুস সালাম বলেন, ‘মাত্র কয়েকটি কিট আছে। তা দিয়ে বুধবার চালানো গেলেও বৃহস্পতিবারের জন্য কোনো কিট থাকবে না। জরুরি ভিত্তিতে কিট না পাওয়া গেলে সমস্যায় পড়তে হবে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল আওয়াল জানান, তাদের জন্য বরাদ্দ টাকায় কিছু ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়নীতি (পিপিআর) অনুযায়ী কমপক্ষে এক মাস সময় লাগে। এছাড়া, কোটেশনের মাধ্যমে তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দর যাচাই করে নিম্নদরদাতাকে কাজ দেয়ার বিধান আছে। কিন্তু স্থানীয় বাজারে কিট ও স্যালাইন অপ্রতুল থাকায় তাও করা যাচ্ছে না।
‘দেশব্যাপী চলমান এ সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০ লাখ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও আইনি জটিলতার কারণে এখনই এ টাকা খরচ করা যাচ্ছে না। ফলে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
আবদুল আওয়াল আরও বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে তারা বিভিন্ন উপায়ে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ সংকটের কথা জানানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্যানাইন সংগ্রহ করার কথাও জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রতিদিন শত শত লোক সদর হাসপাতাল এবং কর্নেল মালেক সরকারি মেডিকেল কলেজে ভিড় করছেন। অনেকে সাধারণ জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়েও সন্দেহের কারণে ডেঙ্গু শনাক্ত করতে আসছেন। এ জন্যই বেশি সমস্যা হচ্ছে।
আবদুল আওয়াল ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ জানান।
জেলা সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, প্রতিদিন ভিড় করা বিপুল সংখ্যক রোগীকে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তারা সাধ্যমতো সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৭৫ জন। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। বুধবার সকাল পর্যন্ত ভর্তি ছিলেন ১২৫ জন এবং ২২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।