এ ব্যাপারে সোমবার গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লতার বাবা বিশা খাঁ জানান, এক বছর আগে সদর উপজেলা বেউথা গ্রামে আব্দুল বাতেনের ছেলে সুজন মিয়ার (২৩) সাথে তার মেয়ে লতা আক্তারের বিয়ে হয়। পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজন বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। বর্তমানে তার মেয়ে সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্তা। রবিবার দুপুরে সুজন গোসল করার জন্য গরম পানি করতে বলে তার মেয়েকে। পরে গোসলের জন্য গামছা চায়। তার মেয়ে গামছা নিয়ে গেলে সুজন গামছা ময়লা কেন এ বলে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে গোসলের গরম পানি লতার শরীরে ঢেলে দেয়। এতে তার মেয়ের পিঠ ও দুই হাত ঝলসে যায়।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) লুৎফর রহমান জানান, গরম পানিতে ওই গৃহবধূর ৩০ ভাগ শরীর ঝলসে গেছে। বর্তমানে শংকামুক্ত থাকলেও এ ধরনের রোগীকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হয়।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয়ার অভিযোগে লতা আক্তারের বাবা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আসামি সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।