মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে রিপোটার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস (আরবিএম) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার সরকার আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘বিদেশি কর্মী আবেদন পদ্ধতির’ মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্থানীয়ভাবে যা ‘সিস্টেম পেঙ্গামবিলান পেকেরজা আসিং (এসপিপিএ)’ নামে পরিচিত।
মন্ত্রী জানান, ‘পরিবর্তনটি একবার সম্পন্ন হয়ে গেলে বাংলাদেশিদের জন্য আবার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়ে যাবে।’
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ স্থগিত করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রক্রিয়াটি স্থগিত করার পর, শ্রমিকদের আগের মতো জিটুজি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাঠানো যাবে।’
তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসের মঙ্গলবার দেশটির সরকারের সাথে এ বিষয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে। একটি যৌথ-ওয়ার্কিং গ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবে।
অনলাইনে এসপিপিএ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কর্মী পাঠানো ১০টি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ওই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. নমিতা হালদার বলেন, প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া পাইপলাইনে রয়েছে।
‘ইতিমধ্যে যারা ভিসা পেয়েছেন তাদের নিয়োগ বর্তমান প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্পন্ন করা হবে’, যোগ করেন তিনি।
আরবিএম প্রেসিডেন্ট ফিরোজ মান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।