তিনি বলেন, ‘তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই তারা পিবিআই ও সিআইডিকে দিয়ে তদন্তের দাবি করছেন।’
শুক্রবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে রিফাতের বাবা এ কথা বলেন।
এর আগে বুধবার মিন্নির বাবা সংবাদ সম্মেলন করে মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দেয়ার দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, ‘আমার ছেলে শাহনেওয়ার রিফাতকে (রিফাত শরীফ) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ১৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সব আসামিই হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে চললেও প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মামলার বাদী, আমি মনে করি তদন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হচ্ছে। কিন্তু আসামিরা মামলাকে ভিন্নখাতে নিতে পিবিআই ও সিআইডি দিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। মামলার আসামি হয়ে তদন্ত পরিবর্তনের দাবি জানানো কোনোভাবেই মানা যায় না। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে। আমি পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিফাতের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যার পেছনে মিন্নিই ষড়যন্ত্র করেছে। এর আগেও এসআই আসাদ, ওবায়দুল ও এএসআই সোহেল খান, নয়ন বন্ড ও মিন্নি চলতি বছরের ১১ মে আমার ছেলেকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে নিহত রিফাত শরীফের চাচা আবদুল আজিজ শরীফসহ পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে এখনও চারজন পলাতক রয়েছে।