‘তারা (মিয়ানমার) গণহত্যা করেছে, বাংলাদেশ করেনি’ উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমারের সাথে দেনদরবারের সময় আমাদের শরীরি ভাষায় অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।’
যদিও রোহিঙ্গা সংকটের ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাধান চাওয়া বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিকভাবে যুক্ত রয়েছে।
ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) আয়োজনে ‘রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: ইন্টারন্যাশনাল রোল ফর টাঞ্জিবল সলিউশনস ইন রাখাইন’ শীর্ষক সেমিনারে অধ্যাপক ইমতিয়াজ এসব কথা বলেন।
ঢাবি’র সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, এখন রোহিঙ্গা বিষয়টাকে বড় আকারে আন্তর্জাতিকীকরণ করা সবচেয়ে সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আসিসি) ও ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসকে (আইসিজে) সবধরনের প্রমাণ দিয়ে সহায়তা করে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
‘এটা মিয়ানমারের ওপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করবে, বিশেষ করে তারা যখন জানতে পারবে যে এসব পূর্ণগতিতে চলছে,’ যোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, সমস্যার সমাধানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন ও ভারত সফরের এটাই উপযুক্ত সময়। ‘এটা জরুরি প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, একটি দক্ষ দলকে সারাবিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীগুলোতে গিয়ে নীতি নির্ধারক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। এসব দেশে নিয়মিত ও বারবার যাওয়া উচিত।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী শুধু বাংলাদেশেই বসবাস করছে তা নয়, আরও অন্তত ১৯টি দেশে তারা বসবাস করছে।
ওই ১৯টি দেশকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, সেখানে গণমাধ্যমের সদস্য, মানবাধিকার সংগঠনসহ আরও বেসামরিক ও রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডারদের আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে।
ডিক্যাব সভাপতি রাহীদ এজাজের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।
এছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস এবং ডিক্যাব সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবও বক্তব্য রাখেন।