মুক্তিযোদ্ধা সি আর দত্ত সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্ত জানিয়েছেন।
মৃত্যুকালে সি আর দত্ত দুই মেয়ে, এক ছেলে ও অসংখ্যা স্বজন রেখে গেছেন।
তার কন্যা কবিতা দাস গুপ্তের বরাত দিয়ে রানা জানান, গত শুক্রবার তার বাবা ওয়াশরুমে পড়ে গিয়েছিলেন এবং পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
কবিতা জানান, সি আর দত্তের শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পরে যেন তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সি আর দত্তকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয় এবং স্বাধীনতার পরে রংপুরে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘জাতি সিআর দত্ত বীর উত্তমকে চিরকাল স্মরণ রাখবে।’
শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অনন্য অবদান দেশ ও জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে শোক জানিয়েছেন।
তারা মরহুম সি আর দত্তের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।