রবিবার সকাল ৮টায় বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের একটি বিমানে করে তাকে শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে এসে ফতুল্লা থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়।
এর আগে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামিকে দেশে নিয়ে আসার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের।
প্রবাসী আসামি আবু সাঈদ ফতুল্লা পশ্চিম দেওভোগ বড় আমবাগান এলাকার ইকবাল হোসেনের পুত্র।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে আসামি আবু সাঈদকে দুবাইয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সকল প্রক্রিয়া শেষে রবিবার দেশে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ৩ মাস আগে আবু সাঈদ বিয়ে করার জন্য দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে পাশের বাড়ির মোনালিসাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সাঈদের পরিবার। কিন্তু মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হননি মোনালিসার পরিবার। পরে সাঈদ পাশের এলাকার ইভা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। কিন্তু ২ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে একা পেয়ে মোনালিসাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে সাঈদ। পরে ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেয়। আর এ ঘটনার পর আবু সাঈদ দুবাই পালিয়ে যায় বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। অগ্রিম রিটার্ন টিকিট থাকায় পালিয়ে যেতে কোনো বেগ পেতে হয়নি তার।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ বড় আমবাগান এলাকা নিজ বাড়ি থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মোনালিসা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মোনালিসা আক্তার স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহীন বেপারীর মেয়ে। সে হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।