মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- ম্যাক্সিম ফাইন্যান্সের এমডি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং পরিচালক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, খায়রুল বাশার সজল, আবদুল হান্নান সরকার, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, এইচএম আমিরুল ইসলাম, মো. ওলিয়ার রহমান, ফজলুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান (তপন), মোহাম্মদ সোলাইমান সরোয়ার, হারুন আর রশিদ, শেখ আবদুল্লাহ আল মেহেদী, সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন, এমএ সাদী, আসলাম হোসাইন, মেহেদী হাসান মোজাফ্ফর, ইমতিয়াজ হোসেন কাওসার ও মিজানুর রহমান।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের মানি লন্ডারিং সংশ্লিষ্ট টাকার দ্বিগুণ ৬০৩ কোটি ৮৬ হাজার ২৫ হাজার ৪৭৮ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে হিসেবে ২১ আসামির প্রত্যেকের জরিমানা ২৮ কোটি ৬৬ লাখ এক হাজার ২১৩ টাকা। এছাড়া, আসামিদের সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আসামিদের আগামী ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর পাশাপাশি পলাতক ১৭ আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এমএলএম ব্যবসার নামে অতি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৩০৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির ২২ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক নূর হোসেন খান।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৪ মে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন। এজাহারভুক্ত আসামি পরিচালক আব্দুল খালেক মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকাসহ সারাদেশে ম্যাক্সিম ফাইন্যান্সের ১১৩টি শাখার মাধ্যমে ১৮ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৩০৪ কোটি ১০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়। এ টাকা ম্যাক্সিম গ্রুপভুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে স্থানান্তর ও রূপান্তর করে মানি লন্ডারিং করা হয়।
ম্যাক্সিম ফাইন্যান্সের ১১৩টি শাখা থাকলেও সমবায় অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নেয়া হয় ২৫টি শাখার। বাকি ৯৮টি শাখার অনুমোদন ছিল না।
মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০৪ কোটি ১০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ করা হলেও তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি ৯৩ লাখ ১২ হাজার ৭৩৯ টাকার অভিযোগ আনা হয়।