শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও কর্মবিরতি পালন করছেন।
‘প্রশাসনের আশ্বাস চাই না, চাই বাস্তবায়ন’ এই শ্লোগানে দুপুর থেকে ফের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মিনহাজ বলেন, ‘তিন দিন চলে গেলেও শ্লীলতাহানির প্রধান আসামি ওই রিকশাচালককে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এছাড়া আমাদের দাবিরগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হয়নি।’ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
ইন্টার্ন চিকিৎসক রাকিব জানান, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও হাসপাতালে কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে, এটা কেউ মেনে নিতে পারছে না।’ দাবি বাস্তবায়ন হলেই কাজে যোগদান করার কথা জানান তিনি।
এ দিকে সমস্যা সমাধানে কলেজ কর্তৃপক্ষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সাথে কলেজ মিলনায়তনে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু দাবি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করা হয়েছে। বাকি দাবিগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এ নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠক চলছে। আশা করছি খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় কলেজ হোস্টেলের গেটে এম-৫৫ ব্যাচের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে এক রিকশাচালক। এর প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার কলেজ ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন কলেজ কর্তৃপক্ষ হোস্টেলের ২ কর্মচারীকে বরখাস্ত করলে শনিবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছিল আন্দোলনকারীরা।