সোমবার ভোররাতে শহরের পূর্ববারান্দী বটতলা এলাকা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
নিহত ফারজানা ইয়াসমিন ডলি (৩৮) যশোরের জনৈক মকবুল হোসেনের মেয়ে এবং রাজধানীর মধ্য বাড্ডার রাজিবুল হাসান বাবুর স্ত্রী।
নিহতের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ২৫ বছর আগে আমার মেয়ে ডলিকে বাবুর সাথে বিয়ে দেই। তাদের সংসারে তিনটি মেয়ে আছে। মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলে লেখাপড়া করে। কিন্তু আমার জামাই বাবুর চরিত্র ভালো না।’
নিহতের ভাই মনির হোসেন খান দাবি করেন, ‘আমার ভগ্নিপতি বাবুর সাথে যশোরের একজন কাপড় ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও ভিআইপি এক কলগার্লের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছে। এই দুই নারীই ঢাকায় বসবাস করে। এছাড়া আগেও খুলনা, ঝিনাইদহ, চিটাগাংয়ের তিনজন নারীর সাথে বাবুর পরকীয়া ছিল। এই নিয়ে আমার বোন ডলির সাথে বাবুর বিরোধ লেগেই থাকতো। ডলি তার মেয়েদের কথা চিন্তা করে সব কিছু সহ্য করে এসেছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার সকালে বাবু ঢাকার বাড্ডায় তার বাসা থেকে ডলিকে বের করে দেয়। এ নিয়ে গত রাতে ফোনে ডলি আর বাবুর ঝগড়া হয় একপর্যায়ে তাকে মরতে বলে বাবু। এ কথায় রাতে কোনো এক সময় ভেন্টিলেটরের সাথে গলায় ফাঁস দেয় ডলি।’
যশোর কোতয়ালী থানার এসআই মোকলেচুর রহমান বলেন, ‘এটা আত্মহত্যা না কী আত্মহত্যার প্ররোচনায় হত্যা, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।’