জাতীয় উন্নয়ন এবং নিরাপত্তায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার জন্য একটি পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেশাদারিত্ব অর্জনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেক কর্মকর্তাকে সদা পরিবর্তনশীল যুদ্ধ-কৌশল ও তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।’
রবিবার রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এসডিসি) ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউ) ২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘প্রযুক্তির প্রসার সাইবার ক্রাইমের মাত্রাকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই তথ্যপ্রযুক্তি ও তার অপপ্রয়োগ সম্পর্কে কর্মকর্তাদের ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। সেজন্য একবিংশ শতাব্দির বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে ফোর্সেস-গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করছে।’
বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য উন্নয়নের নজির স্থাপন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০২১, রূপকল্প-২০৪১ এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ অনুসরণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস, সদ্যসমাপ্ত প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনারা সে চ্যালেঞ্জসমূহ দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অনেক বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যে-কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে।’
সশস্ত্র বাহিনী দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের উচ্চমান সর্বদা বজায় রাখবে বলে আশাপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স সম্পন্নকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় এক বছর নিরলস অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আপনারা এনডিসি ও এএফডব্লিউ কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। আমার বিশ্বাস, অর্জিত জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি এবং অঙ্গীকারকে সামনে রেখে আপনারা জনগণকে আরও বেশি সেবা দিতে পারবেন এবং দেশকে টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।’
অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কমান্ড্যান্ট অব এনডিসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ।
অনুষ্ঠানে মোট ৭৬ জন এনডিসি কর্মকর্তা পদক ও স্নাতক সার্টিফিকেট পেয়েছেন।