বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ সোমবার অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ২৫ মার্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। ওইদিন অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শুরু হবে।
আদালতে প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগে ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে শুনানির জন্য ২৫ মার্চ দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।’
এর আগে গত বছর ৩০ অক্টোবর আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রসিকিউশন শাখায় প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান। এরপর ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মামলার তদন্ত শেষ হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়ে, ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযুক্ত ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুল হক রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৯ ক্যাভেলরি রেজিমেন্টের অ্যাডজুটেন্টের দায়িত্বে থাকাকালে ৪টি সামরিক জিপে মেশিনগান বসিয়ে গুলি বর্ষণ করে রংপুর সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকায়। এতে ৫-৬শ স্বাধীনতাকামী বাঙালি ও সাঁওতালদের হত্যা, গণহত্যা ও অসংখ্য মানুষ গুরুতর আহত হন। গুলি বর্ষণের পর ওই এলাকায় বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। হত্যা, গণহত্যার শিকার মানুষের লাশ পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে কয়েকটি গর্তে মাটি চাপা দেয়া হয়। হত্যা-গণহত্যা ছাড়াও মানবতাবিরোধী নানা অপরাধের সঙ্গে ওয়াহিদুল হক জড়িত।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২৪ এপ্রিল আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই তাকে রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আসামি ওয়াহিদুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।