এছাড়া, মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে খালাসের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদিঘীর মৃত আলীর ছেলে আখিরুল ইসলাম (৩৬), মামলত হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মুন্সী (৪০), চতুরপুরের সেন্টু কাপড়িয়ার ছেলে তহরুল ইসলাম টুটুল (৪২), রশিক নগরের আব্দুল জাব্বারের ছেলে আব্দুল মালেক (৩৪), সাহাপাড়া বটতলার হাজি মঞ্জুর হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪০), চর ভবানিপুরের কশিমুদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩৭), পারচৌকা রানীনগরের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. মাসুদ (২২), রশিকনগরের মৃত হোসেন মন্ডলের ছেলে সিরাজুল ইসলাম সেন্টু (৩২) ও ছত্রাজিতপুর কাঠালিপাড়ার মসলেম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৪)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহী পুঠিয়ার বেলেপুকুরের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী পারুল বেগম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার মহারাজপুর এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে মাসুদ ওরফে লালচাঁদ।
মামলার বিবরণ দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সংগঠনের সভাপতি আখিরুল, সহ-সভাপতি সিরাজুল ও সাধারণ সম্পাদক তহরুলসহ অন্য আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় মনিরুলকে শিবগঞ্জ স্টেডিয়াম এলাকায় নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় মনিরুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন বাদী হয়ে পরদিন শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।