শনিবার কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশের দেয়া সব শর্তে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পণ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে:
# মাদক ব্যবসায়ী/ পৃষ্ঠপোষক/ গডফাদার/ মাদক চোরাকারবারীরা ঘৃণ্য পেশা ত্যাগ করে ভবিষ্যতে মাদক সংক্রান্ত কোনো অপরাধে জড়িত হবেন না।
# সমাজে ফিরে গিয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকা মাদকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন।
# যারা মাদক ব্যবসায় এখনো সক্রিয় রয়েছেন তাদের তথ্য কক্সবাজার জেলা পুলিশকে সরবরাহ করবেন।
# আত্মসমর্পণের পূর্বে তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে বা আদালতে বিচারাধীন আছে সেগুলো তারা নিজ দায়িত্বে আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন।
# নিজেদের হেফাজতে যেসব মাদকদ্রব্য/ অবৈধ অস্ত্র রয়েছে তা আত্মসমর্পণের সময় জেলা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করবেন।
# আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সে প্রসঙ্গে সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে তাদের আইনগত সুবিধা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
# মাদক ব্যবসার মাধ্যমে নিজে/ পরিবারের/ আত্মীয়-স্বজনের নামে ও বেনামে অর্জিত সব স্থাবর/ অস্থাবর সম্পত্তি যাচাইয়ের পর সে সম্পর্কে তথ্য দুদক/সিআইডি (মানি লন্ডারিং শাখা)/ এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সব সংস্থার কাছে পাঠাতে হবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব শর্ত মেনে মাদক ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
আলোচিত এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারীসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাধারণ (১১৫১ জন) এবং সর্বশেষ গডফাদার (৭৩ জন) তালিকার মধ্য থেকে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছেন। এর মধ্যে ৩৯ জন গডফাদার রয়েছেন।