সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটেলিয়ান (ইসিবি) সেতুটি নির্মাণ কাজ করছে। ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে সেতুটি। রাঙ্গামাটি জেলার সাথে নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলা সড়ক যোগাযোগে বড় বাধা চেঙ্গী নদী। একটি সেতুর অভাবে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হত। এখন এই অঞ্চলের মানুষের বহুদিনের দাবি পূরণ হতে চলছে।
২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি বছরে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জুন মাসে অতি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের কারণে হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর এখনও অর্ধেক কাজ বাকি রয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, চেঙ্গী নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হলে নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষের ভাগ্য খুলে যাবে।
এবিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বলেন, সেতুর নির্মাণ কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সেতু নির্মিত হলে এই উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হবে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলায় অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে এখানকার বসবাসরত সাধারণ মানুষ।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ জানান, এ বছর জুন মাস থেকে বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হয়। ফলে এ বছর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ব্রিজের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
২০১৯ সালের ভিতরে এ কাজ সম্পন্ন করা যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সেতু নির্মাণ হলে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির চারটি উপজেলার সাথে সমগ্র দেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। সেতুটির ফলে পাহাড়ের অনগ্রসর একটি অংশের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে বলে মনে করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলেন, নানিয়ারচর, লংগদু, বাঘাইছড়িতে উৎপাদিত পণ্য সহজে বহনের মাধ্যমে বাজারজাত করতে পারবে তারা।