নিহতরা হলেন- নান্নু এবং মোশারফ।
ডিবি পুলিশ এ সময় নিহতদের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তারসহ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুটি গুলি, দুটি ধারাল অস্ত্র ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় ডিবির দুই সদস্যও আহত হয়েছেন।
ডিবির উপ-কমিশনার (গুলশান বিভাগ) মশিউর রহমান ইউএনবিকে বলেন, নগরীর খিলক্ষেত এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে সন্ত্রাসী চক্রের একটি দল ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত ১১টা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত ডিবির (গুলশান বিভাগ) বেশ কয়েকটি দল খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালায়।
রবিবার দিবাগত মধ্যরাত আড়াইটার দিকে শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে খিলক্ষেত ফ্লাইওভারমুখী সন্দেহভাজন সন্ত্রসীদের তিন চাকা অটোরিকশা থামানোর সিগন্যাল দেয় ডিবি পুলিশের একটি দল। সিগন্যাল অমান্য করে অটোরিকশাটি ফ্লাইওভার দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুড়িল বিশ্ব রোডে ফ্লাইওভারের অন্য পাশে থাকা ডিবি পুলিশে দল চেকপোস্ট বসিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়, জানান মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসার সময় অটোরিকশা থেকে নেমে দুজন সন্ত্রাসী ডিবি পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে চালাতে পাশের খালের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
এ ঘটনায় পরে গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা দুজন সন্দেহভাজনকে উদ্ধার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ভোর ৫টার দিকে তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় অটোরিকশার ভেতর থাকা চালক শফিকুল ইসলাম ও সিদ্দিককে আটক করে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুটি গুলি, দুটি ধারাল অস্ত্র ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা নিহত দুজনের একজনের নাম নান্নু ও অন্যজন মোশারফ বলে জানায়।
ডিবির উপ-কমিশনার জানান, নান্নু হলুদ ক্যাব চালাতেন। এরআগে যাত্রী হত্যার দায়ে ৬ বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মোশারফের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আর শফিক ও সিদ্দিককে ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ এর আগেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানান যে তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হারুন হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন। ৩০০ ফিট রাস্তার কাছে অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কাছে নিহত হারুনের লাশ পাওয়া গিয়েছিল।